যে দুটি অঙ্গ হেফাজতে জান্নাতের নিশ্চয়তা

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে বিভিন্ন অঙ্গ দান করে ধন্য করেছেন। জিহ্বা ও যৌনাঙ্গ দামি দুটি নেয়ামত। জিহ্বা দিয়েছেন বাক ভঙ্গীমা প্রকাশ করার জন্য ।জিহ্বাকে সচল রাখতে আল্লাহ আদ্র রেখেছেন। জিহ্বা আদ্র না থাকলে রবের যিকির করা, কথা বলা কোনোটিই সম্ভব হত না। কুদরতীভাবে পরিমানমত এটিকে আদ্র রাখেন।মাতৃগর্ভ থেকে মৃত্যু অবধি আদ্র রাখেন। এর জন্য কোনো কষ্ট করতে হয় না। আদ্র করার দায়িত্ব মানুষের থাকলে কষ্টকর হয়ে যেত।সত্যিই আল্লাহ মহান।

আমরা কী মহান আল্লাহর দেয়া এই নেয়ামতের সঠিক ব্যবহার করছি।নাকি মানুষকে প্রতিনিয়ত এই ছোট্র জিহ্বা দিয়ে কষ্ট দিচ্ছি।অশ্লিল কথা বলছি। পরিনিন্দা করছি। কোরআন ও হাদীসে জিহ্বা সংযত রাখতে একাধিক জায়গায় সতর্ক করা হয়েছে।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন আমল দ্বারা মানুষ বেশী জান্নাতে প্রবেশ করবে? তিনি বললেন, আল্লাহর ভয় ও উত্তম আখলাক। জিজ্ঞাসা করা হল, কোন কাজের দরুন মানুষ বেশী জাহান্নামে যাবে? তিনি বললেন মুখ ও লজ্জাস্থানের কারণে। তিরমিযী শরীফ- ২০০৪

মুখের পাপ : হারাম খাওয়া। গালি-গালাজ করা। গীবত করা।ধমক দেওয়া।মিথ্যা বলা।কাউকে বিদ্রুপ করা ইত্যাদি। মুখের একটি বিস্ফোরণ ও কর্কশ ভাষা মুমিনের হৃদয় আঘাত হানতে যথেষ্ট। ভগ্নহৃদয়ের আহ শব্দেই বিনাশ করে দিতে পারে জান্নাতের নিবাস।

মুমিন ব্যক্তির প্রত্যেকটি কর্মই মিঝানের পাল্লায় উঠানো হবে। ভালো কথা বলতে না পারলে চুপ থাকাও ইবাদত। প্রিয় নবীজি সা. হযরত আবু শুরায়হ আল–খুযায়ী রা. থেকে বর্ণিত। নবী সা. বলেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানের সম্মান করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অন্যথায় নীরবতা অবলম্বন করে। তিরিমীজি শরীফ – ৮২

মানবদেহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যৌনাঙ্গ। বৈধ পন্থায় কাম চাহিদা পুরা করার একটি মাধ্যম। কাম চাহিদা সব প্রাণীরই আছে। তবে মানুষ সে চাহিদা পুরা করবে বৈধ পন্থায় বিয়ের মাধ্যমে। চাইলেই যততত্র নিজের শৌর্য ক্ষয় করে হীনতার পরিচয় দিবে না। অপাত্রে পুরুসত্বের ব্যবহার একদিকে যেমন স্বাস্থের ক্ষতি ডেকে আনে অপর দিকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে যেতে হয়।

এ দুই অঙ্গই মূলত মানুষকে পাপ করতে তাড়িয়ে বেড়ায়। যা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কষ্টের বিনিময় আল্লাহ রাসূল সা. এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন- হযরত সাহল ইবনে সা’দ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার (সন্তুষ্টির) জন্য তার দু’চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। সহীহ বোখারী শরীফ- ৬০৩০। আল্লাহ আমাদের এদুটি অঙ্গ হেফাজত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কসর পড়ে সময় থাকতেই এলাকায় ফিরলে পুরো নামাজ পড়তে হবে?

নূর নিউজ

কুরআন সুন্নায় আলোকিত সমাজই পারে দুর্দশাগ্রস্ত জাতির মুক্তি নিশ্চিত করতে

নূর নিউজ

হজ ফরজ হয়েছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

নূর নিউজ