আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা নিয়ে ইসলাম যা বলে

মানুষ হত্যা, ফেতনা ফ্যাসাদ অশান্তি সৃষ্টি ইসলামের দৃষ্টিতে মহাপাপ এবং কবিরা গুনাহ। ইসলাম কখনো কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না। যারা এসব কাজ করে বা এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা ইন্ধনদাতা, তাদের সবাইকেই আখেরাতে কঠিন আজাবের মুখোমুখি হতে হবে।

অপরাধ ছাড়া মানুষ হত্যা যেন সব মানুষকেই হত্যা করা। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি হত্যার বদলে হত্যা ও জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল’- (সুরা মায়েদা : ৩২)। ‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করো না’ (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত, ৩৩)।

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার পরিণতি হলো স্থায়ীভাবে জাহান্নাম। আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন, তার প্রতি অভিসম্পাত করবেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রাখবেন ভয়ানক শাস্তি’- (সুরা নিসা, ৯৩)।

আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে গোলযোগ সৃষ্টি করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না’- (সূরা কাসাস, আয়াত, ৭৭)।

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না’- (সুরা মায়েদা, আয়াত, ৬৫)। ‘কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি’- (সুরা আশ-শুরা, আয়াত, ৪২)।

আগুনে কোনো কিছু পোড়ানো সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা এক যুদ্ধের সফরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাহিরে গেলেন।

সে সময় আমরা একটি পাখি দেখলাম। যার সঙ্গে ছিল ২টি বাচ্চা। আমরা পাখির বাচ্চা ২টি ধরে নিলাম। আর পাখিটি আমাদের ওপর ঘুরে ঘুরে ডাক-চিৎকার করতে লাগলো।

এমন সময় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে আসলেন এবং পাখির ডাক-চিৎকারের দৃশ্য দেখে বললেন-

مَن فجعَ هذِهِ بولدِها ؟ ردُّوا ولدَها إليها

‘পাখির বাচ্চা ধরে কে তাকে কষ্ট দিচ্ছ? তার বাচ্চা তাকে ফিরিয়ে দাও।

অতঃপর একটি ঘরের দিকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টি পড়ে। যেটি আমরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম।
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এটি কে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’

উত্তরে বললাম, ‘আমরা জ্বালিয়েছি।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

إنَّهُ لا ينْبَغِي أنْ يُعَذِّب بالنَّارِ إلَّا ربُّ النَّارِ

‘আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া আগুনের প্রভু ব্যতিত অন্য কারো অধিকার নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ২৬৭৫)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

অন্ধ ব্যক্তি আজান দিতে পারবে?

নূর নিউজ

জুমার দিন মসজিদে আগে যাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

নূর নিউজ

কবর জিয়ারতের সময় যে দোয়া পড়া সুন্নত

নূর নিউজ