বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

শৈশবের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোটবেলায় শিশুরা তোমরা বাবা মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাও, আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। বাবার সঙ্গে দেখা হতো কারাগারে। মাসে দুইবার জেলগেটে যেতে পারতাম। স্কুল থেকে জেলগেটে গিয়েছি, কলেজ থেকে জেলগেটে গিয়েছি। এই ছিল আমাদের জীবন।

তিনি বলেন, তবে আমাদের কোনো ক্ষোভ ছিল না, আমরা জানি আমাদের বাবা সংগ্রাম করছেন দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। স্বাধীনতার পর থেকে তিনি সে প্রচেষ্টাই চালিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য সম্বলিত মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছি। এ বাংলাদেশ একসময় আজকের বাংলাদেশ ছিল না। এমনকি ১৫ বছর আগের বাংলাদেশেও এখনকার বাংলাদেশ নয়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, চিকিৎসাহীনতা, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের ক্রন্দনে বাংলার আকাশ-বাতাস ভারী ছিল। এই বাঙালি জাতিকে আত্মসম্মানে মুক্তি দেওয়ার জন্যই জাতির পিতার সংগ্রাম। জাতির পিতা নিজের জীবনটা উৎসর্গ করেছিল এ দেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল, এর মধ্যে বাংলাদেশকে একটা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করতে পেরেছি। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের ওয়াইফাই কানেকশন আছে। আমরা স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা দিচ্ছি। অনেক আধুনিক প্রযুক্তির স্থাপনা করে আজকের দেশে মানুষকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। আজকের শিশুরা হবে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কঠোর লকডাউনের সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ

আনসারুল হক

সিইসি ও চার কমিশনারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

নূর নিউজ

ঈদের দিন রোদ না বৃষ্টি, জানাল অধিদপ্তর

নূর নিউজ