হেঁটে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব

মসজিদ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ঘর। মসজিদে যাতায়াতকারীও আল্লাহর কাছে সবার চেয়ে প্রিয়।বারবার মসজিদে যাতায়াতকারী সম্পর্কে হাদীসে সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।

জান্নাতে আপ্যায়ন সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়

যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, চাই সালাতের জন্য অথবা ইলম শিক্ষার জন্য অথবা অন্য কোনো কল্যাণকর কাজের জন্য, সে যতবারই মসজিদে গমন করে আল্লাহ তাআলা তার আমলের প্রতিদান হিসেবে তার জন্য জান্নাতে আপ্যায়ন সামগ্রী প্রস্তুত করেন। কানযুল উম্মাল- ২০২৩৮

পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ

হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রাতের অন্ধকারে হেঁটে মসজিদে যাতায়াতকারীদেরকে কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। ইবনে মাজাহ :৭৮১

মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ও গুনাহ মাফ হয়

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা গুনাহ মিটিয়ে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন? তা হলো, কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি পদচারণ এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। মুসলিম শরীফ-২৫১

আল্লাহর যিম্মায় থাকে

তিন শ্রেণির মানুষ আল্লাহর জিম্মায় থাকে। হযরত আবু উমামা আল-বাহেলি রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল বলেছেন, তিন ধরনের মানুষ মহান আল্লাহর জিম্মায় থাকে।

১. যে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকে। সে মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে ফিরে এলে তাকে নেকি এবং গনিমতের প্রাপ্য অংশ দান করেন।

২. যে ব্যক্তি জামাতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, সেও আল্লাহর জিম্মায় থাকে। এ অবস্থায় সে যদি মারা যায়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর মসজিদ থেকে ফিরে এলে তার প্রাপ্য সওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে প্রবেশ করার সময় পরিবারের লোকজনকে সালাম দেয়, সেও মহান আল্লাহর জিম্মায় থাকে। হাদিসবিশারদরা এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন- কিয়ামতের দিন মুমিনের মুখমণ্ডল চমকাতে থাকবে। যেমন—আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে।

জামাত শেষ হওয়ার পর মসজিদে গেলেও জামাতে শরিক হওয়ার সওয়াব মিলবে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করল। অতঃপর মসজিদে গিয়ে দেখল যে লোকজন সালাত আদায় করে ফেলেছে। আল্লাহ তাকে ওই ব্যক্তির মতো পুরস্কার দেবেন, যে ব্যক্তি সালাত আদায় করেছে ও শুরু থেকে উপস্থিত থেকেছে। তাদের নেকি থেকে মোটেই কম করা হবে না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বেশি বেশি মসজিদে যাওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ইসলামী ছাত্রসমাজ তাকওয়াবান ব্যক্তিত্ব নেতৃত্ব উপহার দিচ্ছে: এহতেশামুল হক সাখী

নূর নিউজ

জান্নাতিদের শরীরের গঠন যেমন হবে

নূর নিউজ

আরেকটি বিশ্বজয়ের পথে হাফেজ মুশফিক

নূর নিউজ