জ্বর, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে সর্দি দেখা দেয়। সর্দির পানি মোটামুটি সবাই অপছন্দ করেন। কাপড়ে লাগলে তা অনেকেরই অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সর্দির পানির সঙ্গে যে ময়লা বের হয়, তা পবিত্র নাকি অপবিত্র এ নিয়ে কারো কারো মনে সন্দেহ তৈরি হয়। কেউ কেউ জানতে চান-
নামাজ পড়াকালীন বা মোনাজাতের সময় নাকের সর্দি অর্থাৎ পানীয় জিনিসটা বেরোলে অনেক সময় কাপড় বা পাঞ্জাবিতে লেগে যায়। কোনো কাপড়ে সর্দি লাগলে সেই কাপড় না ধুয়ে তা পরে কি নামাজ পড়া যাবে নাকি কাপড় পরিবর্তন করতে হবে?
এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, নাকের সর্দি বা পানি অপবিত্র নয়। অবশ্য যদি সর্দির সঙ্গে পুঁজ বের হয় তাহলে তা অপবিত্র। তাই নাকের পানি কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি নয়। ওই কাপড়সহ নামাজ পড়া জায়েজ আছে। তবে ময়লার কারণে কারো তা ব্যবহার করতে ইচ্ছা না করলে চেঞ্জ করা যেতে পারে।
হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
: أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ – ﷺ – وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজন- বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকির হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারাকুতনী, হাদিস, ৪৫০)