১৫ হাজার ছাড়িয়েছে গাজার নিহতের সংখ্যা, নিখোঁজ ৭ হাজার

ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী। এ ছাড়াও অগণিত মরদেহ গাজার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তো আছেই। সোমবার (২৭ নভেম্বর) গাজার সরকারী মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য । খবর আনাদোলু এজেন্সির।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখনো গাজার অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ জনের বেশি। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।

এছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। আর এ পর্যন্ত ৮৮টি মসজিদ পুরাপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। অন্যদিকে তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়-শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।

এমনকি গাজার হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জায়ও হামলা চালিয়ে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আর দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

প্রসঙ্গত, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ছিল চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরাইল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নেদারল্যান্ডসে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে আবারাে ভাঙচুর

আনসারুল হক

ওমরাহ ভিসার মেয়াদ মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে সৌদি

নূর নিউজ

তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে আটকে আছে, এটা লজ্জার : মোমেন

নূর নিউজ