স্ত্রীর ব্যক্তিগত খরচের প্রতি গুরুত্ব দেবেন যে কারণে

প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত কিছু খরচের খাত থাকে। তাই পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচের বাইরেও স্ত্রীকে তার ব্যক্তিগত খরচের জন্য নিয়মিত কিছু টাকা দেওয়া আবশ্যক। যা সে ইচ্ছামত নিজ প্রয়োজনে খরব করতে পারবে। এর পরিমাণ স্বামী তার অবস্থা ও সঙ্গতি অনুযায়ী নির্ধারণ করবেন।

ব্যক্তিগত খরচ দেওয়ার সময় স্বামীর জন্য অবশ্যই স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে যে, এই টাকা সংসারের খরচের বাইরে তোমার ব্যক্তিগত খরচের জন্য। তুমি যেখানে ইচ্ছা এ টাকা খরচ করতে পারবে। ব্যক্তিগত খরচের টাকা আলাদাভাবে স্ত্রীর হাতে দিলে পারিবারিক খরচের জন্য দেওয়া টাকার হিসাব নিকাশ চাওয়ার সুযোগ থাকবে।

ব্যক্তিগত খরচ যদি আলাদাভাবে দেওয়া না হয় তাহলে স্বভাবতই সংসার খরচের জন্য দেওয়া টাকা থেকে স্ত্রী খেয়ানত করতে বাধ্য হবে। আর একারণে তার ওপর কঠোরতা করা এক ধরনের জুলুম ও নির্দয় কাজ।

মানুষ মাত্রই তার কিছু ধর্মীয় এবং পাথির্ব খরচের ক্ষেত্র থাকে। মেয়েদের কাছে আলাদা করে সাধারণত কোনো টাকা-পয়সা থাকে না। এজন্য স্বামীর উচিত স্ত্রীকে তার আবশ্যকীয় খরচের অতিরিক্ত সাধ্যমত নিয়মিত কিছু টাকা-পয়সা দেওয়া এবং তার হিসাব না নেওয়া। এই টাকা সে তার ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে নিজের ব্যক্তিগত ও ধমীর্য় খাতে খরচ করবে।

এছাড়া স্ত্রীর অলঙ্কারের জাকাত, সদকায়ে ফিতর ও কোরবানি আদায় করা যেহেতু স্বামীর দায়িত্ব নয়, তাই তার কাছে এমন কিছু টাকা থাকা প্রয়োজন যার মাধ্যমে সে এই ওয়াজিব আমলগুলো সহজে পালন করতে পারে। তবে এটা স্বামীর ওপর ওয়াজিব নয়। স্বামী না দিলেও স্ত্রী নিজের অলঙ্কার বিক্রি করে জাকাত, সদকায়ে ফিতর ও কোরবানি আদায় করবে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সম্পদ থেকে এই ওয়াজিব আমলগুলো আদায় করা জায়েজ নেই।

আর নারীরা এই বিষয়গুলোতে একেবারে অসর্তক। তারা স্বামীর সম্পদকে পুরোপুরি নিজের সম্পদ মনে করে তা যথেচ্ছা খরচ করতে থাকে, যা উচিত নয়। (কুরআন-হাদিসের আলোকে পারিবারিক জীবন, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ., ৯০)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

অজুতে রয়েছে যেসব কল্যাণ

নূর নিউজ

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ইসলাম কী বলে?

নূর নিউজ

মহানবী সা.-কে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন মদিনাবাসী

নূর নিউজ