বিয়ে পড়িয়ে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে?

বিয়ের মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণভাবে বিবাহ এমন একটি বন্ধন যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

বিয়ের গুরুত্ব

প্রাপ্ত বয়স্ক ও সামর্থ্যবান হলে— কালবিলম্ব না করে বিয়ে করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। বিয়ে শুধু জৈবিক চাহিদাই নয়, বরং একটি মহান ইবাদতও বটে। বিয়ের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ সাধিত হয়। বিয়ে মানুষের জীবন পরিশীলিত, মার্জিত ও পবিত্র করে তোলে।

মহান রাব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা রুম, আয়াত, ২১)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস,৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস, ১৪০০)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস, ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস, ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস, ২৭২৮)

বিয়ে পড়িয়ে বিনিময় গ্রহণের বিধান

সাধারণভাবে এলাকার ইমাম বা কাজি বিয়ে পড়িয়ে থাকেন। বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে এলাকার ইমাম ও কাজিকে টাকা বা বিনিময় দেওয়ার প্রচলন রয়েছে সমাজে। বিয়ে পড়িয়ে বিনিয়ম প্রদানের বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা বলেন,

বিয়ে পড়িয়ে বিনিময় বা হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। তবে দেওয়ার সময় তা হাদিয়া হিসেবে দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- দাতা হাদিয়া দেওয়ার সময় তা দেওয়া জরুরি মনে করতে পারবে না। একইভাবে একেবারে না দিলে অথবা পরিমাণে কম দিলে যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তিনি মন খারাপ করতে পারবেন না।

আর কেউ যদি ইমাম বা কাজিকে বিয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা দিতে চায় তাহলেও দিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বিয়ের আগে অবশ্যই টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করে নিতে হবে। যাতে পরবর্তীতে একে কেন্দ্র করে ঝগড়াঝাঁটি বা মনঃক্ষুণ্ণতা সৃষ্টি না হয়।

বিয়ে পড়ানোর কাজ শেষ হবার পর উচিত হলো যে পক্ষ ইমাম সাহেব বা কাজী সাহেবের সাথে চুক্তি করবে, তারাই পারিশ্রমিক পরিশোধ করবে। অন্য পক্ষের ওপর বিনিময় পরিশোধের দায়িত্ব বর্তাবে না।

অর্থাৎ, যদি কনেপক্ষ চুক্তি করে তাহলে তারাই পারিশ্রমিক পরিশোধ করবে। বর পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না। তবে এক্ষেত্রেও বরপক্ষ স্বেচ্ছায় পরিশোধ করতে চাইলে তা করতে পারবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমা প্রার্থনা বা নিজের পাপ মোচনের জন্য ইস্তেগফার পড়া হয়।

নূর নিউজ

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

নূর নিউজ

হজ ফরজ হয়েছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

নূর নিউজ