ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর উৎপত্তি ও অশ্লীলতাকে উস্কে দেয়ার হীন চক্রান্ত

মুফতি  মোহাম্মদ এনামুল হাসান   

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর উৎপত্তি খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাডিয়াসের শাসনামলে। তৎকালীন সময়ে ক্লাডিয়াস একটি বিধান জারি করে যে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেনা। কারণ বিবাহ যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর মনোবল ও দৃঢ়তাকে ব্যাহত করে দেয়।

এসময় এই আইনের বিরোধিতা করে ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের গোপনে বিবাহের বিষয়ে সহায়তা করেন। এই অপরাধের কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়। কারারুদ্ধ হবার পর তাকে দেখতে তরুণ তরুণী প্রেমিক প্রেমিকা বিভিন্ন ফুল উপহার নিয়ে কারাগারে আসতো।

কারারক্ষীর এক মেয়ে ও তাকে দেখতে যেতো কারাগারে। এই আসা যাওয়ার মাঝে কারারক্ষীর মেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ভ্যালেন্টাইন। একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে ও আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সবকিছুর খবর পেয়ে যায় সম্রাট।

সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে খ্রিষ্টীয় ২৭০ শতকের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।

এই ঘটনার পর খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ঐ পাদ্রির নামে নামকরণ করে রাখে ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এ-র ইতিহাস মূলত বিবাহের অধিকার রক্ষা করার ইতিহাস। কিন্তু আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর নামে প্রেম ভালবাসার ধোয়া তুলে তরুণ তরুণী প্রেমিক প্রেমিকাকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে অশ্লীলতা ও বেলেল্লাপনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে বেমানান এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। বাংলাদেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর চিন্তাচেতনা ও ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসের পরিপন্থী এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

বাংলাদেশ একটি রক্ষণশীল জাতী। কিন্তু আজ ভ্যালেন্টাইন্সডে-এর নামে অশ্লীলতাকে উস্কে দিচ্ছে কিছু প্রগতিশীল চিন্তার মানুষেরা। নির্দিষ্ট একটা ধর্মীয় গোষ্ঠী তথা খ্রিষ্টানদের সংস্কৃতিকে আজ বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে কে। বলা হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই, অথচ তা খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত।

আজ মুসলিম তরুণ তরুণীদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর নামে দেশব্যাপী যে অশ্লীলতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এ-র দ্বারা প্রকাশ্যে অশ্লীলতাকে প্রমোট করা হচ্ছে।

অথচ আল্লাহতায়ালা বলেন, যারা মুমিনদের মাঝে অশ্লীলতার প্রসার ঘটায় তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, (সূরা নূর, আয়াত ১৯)।

এবিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এরশাদ করেন, যে জাতির মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, তারা তার ব্যপক প্রচারের ও ব্যবস্থা করে যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা, দূর্ভিক্ষ এতটাই প্রকটভাবে দেখা দেবে যা তাদের পূর্ববর্তীরা কখনো দেখেনি, (ইবনে মাজাহ) ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

চাঁদ দেখা কমিটির সভা মঙ্গলবার

নূর নিউজ

করোনার টিকা নিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আলাউদ্দিন

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলেমদের মুক্তি ও বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান হেফাজতের

নূর নিউজ