আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত অনেক রোগের প্রকোপ বাড়ে। খুব বড় কোনো সমস্যা না হলে যার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, নিজে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু এ বছর যেন এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। চারদিকে বেড়ে গিয়েছে জ্বর, গলাব্যথা, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতোন সমস্যা। নানা নিয়মকানুন মেনে বা ওষুধ খেয়েও মিলছে না শান্তি।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়; যা এখনো চলমান। অধিকাংশ রোগীদের ঠান্ডা-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও জ্বর থাকে। হালকা মাত্রার ঠান্ডা-কাশি থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভুগছেন। জ্বরের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রার জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের সুস্থ্য হতে এবং কাশি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসও লেগে যাচ্ছে। আর এ সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পরছেন নাক বন্ধের সমস্যা নিয়ে। যার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, ঠিকভাবে ঘুম হয় না। মাথা ধরে থাকে সারাক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো করলে বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে-