দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বন্যার্তদের জন্য তিন ধাপে ৭০০ টন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রথম ধাপে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রী এবং তৃতীয় ধাপে ৫০ হাজার পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে তাদের। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য ঘরহারা ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ারও কথা রয়েছে তাদের।
ত্রাণ বিতরণে অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকল স্তরের মানুষের জন্য। অন্যান্য ধর্মের ভাইদেরকে ক্রাইসিসে পাইলে তাদের প্রায়োরিটি দিয়ে আগে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ কোনো কারণে তারা বঞ্চিত কি না—এই জায়গা থেকে আমরা কাজটা করি।
তিনি বলেন, গতকাল আমি দাগনভূঞা গিয়েছি। ওখানে একটা লাইনে খেয়াল করলাম যে, একটা লাইনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম, এই গ্রামে যথেষ্ট পরিমাণে হিন্দু ভাইয়েরা রয়েছেন। ২০২২ এর বন্যায়ও আমি যখন শুনলাম যে, এখানে একটি হিন্দু গ্রাম আছে। আমরা বললাম, প্রথমে আমরা সে গ্রামে যাবো। সেখানে গিয়ে আমি নিজ হাতে তাদের প্রত্যেকটা ঘরে সহায়তা পৌঁছিয়েছি।
‘কোরবানির সময়ও আমরা বন্যার্তদের কাছে পশু জবাই করে কোরবানির গোশত পৌঁছিয়েছি। যেহেতু কোরবানিতে ইসলামি শরিয়তে কিছু মাসয়ালার বিষয় আছে, তাই আমরা হিন্দু ভাইদের জন্য শুধুমাত্র সহায়তার উদ্দেশ্যে কিছু ছাগল জবাই করে দিয়ে বললাম, আপনারা আপনাদের মতো করে খান।’
তিনি বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন শুরু থেকেই ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে। এখানে যারা স্বেচ্ছাসেবার কাজ করছেন তাদের মধ্যে অনেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আসলে ‘আমরা ও তারা’ এই জায়গায় সারাদেশের মানুষকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। সকল দুর্যোগে একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এসময় আস-সুন্নাহর যেকোনো সঠিক বক্তব্য পেতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল অনুসরণের অনুরোধ করেন আস-সুন্নাহ