মাদকাসক্তদের সুস্থ জীবনে ফেরাতে আলেমদের ভূমিকা রাখাতে হবে: মুফতি হাফিজুদ্দীন

মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সহমর্মিতা ও উদারতার সঙ্গে আপন করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম ও জামিয়া শারইয়‍্যাহ মালিবাগ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম শায়খ মুফতি হাফিজুদ্দীন।

তিনি বলেছেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের ঘৃণা না করে পাশে থাকতে হবে। তাদের কাছে মমতার মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে আপন করে দাওয়াত দিতে হবে। এতে করে তারা বিগড়াবে না, বরং নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সুপথে ফিরে আসবে।

সোমবার মাদানী মজলিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় ‘মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুফতি হাফিজুদ্দীন এসব কথা বলেন। রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত জামিয়াতুল আস’আদ আল-ইসলামিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট আলেম, সমাজ কর্মী ও সিনিয়র সাংবাদিকরা আলোচনা করেন।

এছাড়াও রামপুরার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মুফতি হাফিজুদ্দীন বলেন, সুসম্পর্কের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত পেয়ে অনেক মাদকাসক্ত তরুণ-যুবক আমার কাছে এসে তওবা করে জীবনের জন্য মদপান ছেড়ে দিয়েছে। কাজেই সামাজিকভাবে সবাইকে মাদকাসক্তদের ব্যাপারে সহমর্মিতার পরিচয় দিতে হবে। এমন নয় যে নেশায় আসক্ত ব্যক্তিরা কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে না। এর জন্য আমাদের সবার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।

ইমাম-খতিব ও আলেমদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশিষ্ট এই আলেম বলেন, নবীর উত্তরসূরী হিসেবে সমাজের সবার বিষয়ে আলেমদের দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় মাদকাসক্তদের ব্যাপারে ইমাম-খতিবরা খোঁজ নিয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা চালাতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কঠোরতা করা যাবে না, সহমর্মিতা ও উদারতার সঙ্গেই তাদের সঠিক পথে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে ‘মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার’ বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন মাদানী মজলিস বাংলাদেশের সদস্য মুফতি মোস্তফা কামাল।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি লুতফুর রহমান ফারায়েজী, রামপুরা বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ক্যাপ্টেন এসএম হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান, জামিয়া ইকরার মুহাদ্দিস মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়া, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আহসান উল্লাহ, মুফতি আতাউস সামাদ ফরহাদ, মুফতি আরামান সাদিক রাহমানী প্রমুখ ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে মদ ও নেশার ভয়াবহ কুফল এবং পরিণতির নানা দিক তুলে ধরে মাদকতা প্রতিরোধে সরকার, জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি, শিক্ষক, অভিভাবক ও আলেমদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রোজাদারের জন্য বিশেষ পুরস্কার

নূর নিউজ

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ইসলাম কী বলে?

নূর নিউজ

সুরা নাস পাঠের ফজিলত

নূর নিউজ