বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা দিয়ে তার নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে করোনার সময় ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভারে তাকে দাফন করা হয়। সে সময়ই দাফন করা ব্যক্তিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিস চৌধুরীর মৃতদেহ দাবি করেছিলেন তার কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী। তবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার বিষয়টি তদন্ত করেও অমীমাংসিত রেখে দেয়।
পরে পাঁচ আগস্টের পর দেশে ফিরে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সামিরা। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষার পর বাবা ও মেয়ের ডিএনএতে মিল খুঁজে পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মরহুম হারিস চৌধুরীর লাশ মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় দাফন ও দাফন পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, তদন্তের সাপেক্ষে গত ১৭ অক্টোবর উত্তোলন করা মরহুম হারিস চৌধুরীর লাশ এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সংরক্ষিত আছে। আদালতের লিখিত আদেশ হাতে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়েও হাইকোর্টের এই নির্দেশনা পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী জানান, আদালতের আদেশ আমাদের হাতে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আব্বুকে সিলেটে তার ওসিয়ত অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার কবরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রশাসন আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। আগামী ১৯ তারিখ আমি সরেজমিনে দেখতে কানাইঘাট যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি আশাকরি মহামান্য হাইকোর্টের যুগান্তকারী এই রায় যথাযথভাবে আমলে নিবেন মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যেই এতিমখানায় আব্বুর দাফন হবে সেটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।