রমজানের আগেই যেসব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। প্রথম পর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সমাবেশ হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে। মূলত জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে জনগণের সমর্থন আদায় এবং দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে নতুন কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে দলটি।

গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির একাধিক সদস্য এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির কেউ নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন হলেও তারা প্রায় ছয় মাস ধরে ক্ষমতায় আছে।

বেশ কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট ও করারোপও করেছে সরকার। ফলে আগে থেকে বেড়ে যাওয়া পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে এ বিষয়ে বিএনপির কর্মসূচি জনগণ প্রত্যাশা করে বলে মনে করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রথম কর্মসূচিতে সমাবেশ হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে বিভাগ ও জেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি হতে পারে।

দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই পর্যায়ে জেলায় জেলায় সমাবেশ করা হবে।

রজমানের আগেই এসব কর্মসূচি শেষ করতে চায় বিএনপি। আগামী মাসের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশে রোজা শুরু হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

সম্প্রতি বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন করে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। তবে বিএনপি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়কে নির্বাচনের জন্য ‘অতিরিক্ত সময়’ মনে করছে। তারা সরকারকে এত সময় দিতে রাজি নয়।

বৈঠকে দলটির নেতারা অভিমত দেন যে নির্বাচনের জন্য এত সময়ের দরকার নেই। ন্যূনতম সংস্কার করে একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আগামী জুলাই-আগস্টেই করা সম্ভব। জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবিটা মূলত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য করছে বিএনপি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলেই তাদের আপত্তি থাকবে না।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

দিল্লিতে জুমার নামাজে বাধা দিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়া হয়েছে

নূর নিউজ

জালেম শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জনে উলামায়ে কেরামের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে: হেফাজত মহাসচিব

নূর নিউজ

সেবাপ্রত্যাশীদের ‘স্যার’ বলে ডাকেন এই সরকারি কর্মকর্তা

নূর নিউজ