ফিলিস্তিনে বিপর্যস্ত মানবিকতা। বোমার আঘাতে উড়ছে মানুষের মৃতদেহের খণ্ড খণ্ড অংশ। ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলার মুখে রীতিমত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র এই ভূখণ্ড। কেবলমাত্র অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে গত ২০ দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে ৪৯০ শিশু। আর সবশেষ ১৮ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক।
বিপর্যস্ত এই মানবিক অবস্থায় ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে সারাবিশ্বের অগণিত মানুষ। দূরে বসেও নিপীড়িত মানুষের হয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ কিংবা নুরুল হাসান সোহানদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা আর সহমর্মিতার বাণী।
জাতীয় দলের পেসার তাসকিন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় লিখেছেন, ‘একজন মানুষ ও মুসলমান হিসেবে আমি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতার জয় হোক—এই প্রার্থনা।’ ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে নুরুল হাসান সোহানের মন্তব্য, ‘ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হচ্ছে, আমাদের সবার স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ।’
ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে মুশফিকুর রহিম তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, পুরো পৃথিবীর নির্যাতিতদের সাহায্য করো। হে আল্লাহ, তাদের জন্য রক্ষক, সাহায্যকারী, সহয়তাকারী এবং শক্তিদানকারী হয়ে ওঠো।’
গ্রাফিকাল ছবি পোস্ট করে মাহমুদউল্লাহ আল্লাহর একাধিক গুণবাচক নাম সামনে এনে প্রার্থনা করেছেন ফিলিস্তিনের জন্য। তাদের রক্ষা এবং বিজয় অর্জনের দোয়ার বাণী ফুটে উঠেছে তার লেখায়। পেসার নাহিদ রানা একাধিক ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার আয়াত উদ্ধৃত করে পেসার শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি একটি নির্দোষ মানুষকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলো।” – (সূরা মায়েদা: ৩২)। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে। ওরা আমাদের ভাই, ওরা আমাদের আত্মীয়।
দোয়া করুন, গর্জে উঠুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকুন।’
এদিকে সোমবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ-মিছিল চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, মরক্কো, তুরস্কে চলছে বিক্ষোভ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও একাধিক পয়েন্টে সহিংসতাবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ।