ঐকমত্য কমিশনের ১৪৫ প্রস্তাবে একমত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি এবং ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করার জন্য সহায়ক প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একমত পোষণ করেছে এবং প্রয়োজনীয় নতুন প্রস্তাবনা যুক্ত করেছে

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংস্কার প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম এবং সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম ও মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়াতুল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাবিত সংস্কারের অধিকাংশের সাথেই একমত পোষণ করেছে। বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, একই ব্যক্তি দল, সরকার ও সংসদ প্রধান না থাকা, ৭০ অনুচ্ছেদের বিলুপ্তির মতো প্রস্তাব যা ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে তাতে ঐকমত্য পোষণ করেছে।

রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের সাথেও ইসলামী আন্দোলন একমত তবে রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অফ বাংলাদেশ’। কারণ এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।

বিচার বিভাগীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২১টির সাথেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে একমত পোষন করেছে। এর বাইরে শরিয়াহ কোর্ট স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং প্রমানিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সম্মতিকে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন বিষয়ে প্রস্তাবিত মোট ২৬টি সংস্কারের মধ্যে ১২টি একমত পোষন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ৯টি প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। আর ৫টির সাথে আংশিক একমত পোষণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিশেষ করে প্রদেশিক ও সিটি গভর্নমেন্ট প্রস্তাবের সাথে এবং মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। এবং অফিসিয়াল সিক্রেট এক্ট সংশোধনের বদলে পুরো বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়োগে মন্ত্রীপরিষদ কমিটিরও বিরোধিতা করা হয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬১টি প্রস্তাবে একমত, ৩টি একমত পোষন করা হয় নাই। ৬টিতে আংশিক একমত পোষণ করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব এবং মন্তব্য যুক্ত করা হয়েছে ১১টি ও মৌলিক প্রস্তাব ৪টি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২১টি প্রস্তাবে একমত, ২টিতে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২টি প্রস্তাবে একমত, ৯টি একমত পোষণ করা হয় নাই। একটি বিশেষ মূল্যায়নসহ ১৩টি নতুন প্রস্তাবনা যুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ২৭টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮টি প্রস্তাবে একমত, ৯টি একমত পোষণ করা হয় নাই। নতুন প্রস্তাবনা যুক্ত করা হয়েছে একটি।

দুদক সংস্কার কমিশনের ২১টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮টি প্রস্তাবে একমত, ৩টি একমত পোষণ করা হয় নাই। নতুন প্রস্তাবনা ৫টি ও সুপারিশ যুক্ত করা হয়েছে তিনটি।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোতেই একমত পোষণ করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ওভারটাইম করেও বাড়তি অর্থ পান না প্রবাসীরা

আনসারুল হক

রোজা আসার আগে যে ১১ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি

আনসারুল হক

ওদের হাতে ক্ষমতা দিলে কোনদিন শান্তি আসবে না

নূর নিউজ