দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ আপাতত আর প্রকাশ হবে না। কর্তৃপক্ষ এই বার্তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়লেন।
জানা গেছে, এই পত্রিকার সাংবাদিক ও কর্মচারীদের ১১ মাসের বেতন-ভাতাও বকেয়া রয়েছে। এছাড়া, আগে চাকরিচ্যুত বা অব্যাহতি নেওয়া অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক-কর্মচারীর পাওনাও পরিশোধ করেনি পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক কাজী রফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে আলোকিত বাংলাদেশের একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, অফিসের হিসাব বিভাগের পক্ষ থেকে এই পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মীদের জানানো হয়েছে, মালিকপক্ষ আপাতত আলোকিত বাংলাদেশ আর প্রকাশ করবেন না। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের মতামত জানতে চেয়েছে। সাংবাদিকরা হিসাব বিভাগের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা চান, তা পরিশোধ করতে হবে।
একজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, সাংবাদিক ও কর্মীদের মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৯ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। তবে তা করা হবে দুই মাস পর পর কিস্তিতে। ৯ বছর ধরে কর্মরতদের অন্যান্য কোনো পাওনা দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি। পত্রিকার প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ১৫১/৭ গ্রিন রোডে। সেখানকার অফিস ভাড়াও বকেয়া রয়েছে। অফিসটিও ছেড়ে দেয়া হবে।
এ অবস্থায় এখন কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার বলেন, ‘আমি গত সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেছি। আমি জেনেছি, রোববার প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে। এরপর জানানো হয়েছে পত্রিকাটি আর বের হবে না। আমার বকেয়া পাওনা রয়েছে প্রায় ১০ মাসের। আমি পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি। বহু উদ্যোগ নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত একটি চক্রের কারণে তা সম্ভব হয়নি’।