পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে স্বৈরাচারীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন।
এছাড়া ইমরানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক মতামতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপটি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রকাশিত মতামতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ইমরানের আটকের উপযুক্ত প্রতিকার হবে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাকে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণের একটি কার্যকর অধিকার প্রদান করা।‘
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘ইমরান খানকে আটকের কোনও আইনি ভিত্তি ছিল না এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছিল। শুরু থেকেই, সেই প্রসিকিউশনটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না।‘
সংস্থাটি বলে, ‘ইমরান খানের আইনি সমস্যাগুলো তার এবং তার দল পাকিস্তান তেহরি-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর দমন অভিযানের অংশ ছিল। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে, ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাদের সমাবেশগুলোকে ব্যাহত করা হয়েছিল।
ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন জাতিসংঘের হলেও পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত দলটির মতামত শোনা বা মানা বাধ্যতামূলক না। জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ চলতি বছরের ২৫ মার্চ এই মতামত প্রকাশ করলেও এটি জনসমক্ষে আসে গতকাল সোমবার।
এদিকে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।