রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য রক্তের নজরানা পেশের পর ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও উচ্চ আলাদতের রায় এবং উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় নাই, এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছু হতে পারে না।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি’২৫ শুক্রবার ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্র গণজমায়েতে পীর সাহেব চরমোনাই উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ৫২ এর পরে বাংলাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায় না। সংবিধানে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের মতো ভাষার প্রশ্নেও ৫২ এর রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। অতীত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন। উচ্চ আদালত ও উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয় এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রকাশ্যে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ, জীবন উৎসর্গ ও আহতদের আন্দোলনের ঐতিহাসিক অবদান এদেশের সচেতন জনগন, ছাত্র সমাজ, সুশীল ও সাংবাদিক মহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাদের রক্তক্ষয়ী সর্বাত্মক চেষ্টার ফলে এদেশ থেকে জগদ্দল পাথর হটতে বাধ্য হয়েছে, এদেশ ফ্যাসিস্ট শাসন মুক্ত হয়েছে।
ছাত্র গণজমায়েতে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ,আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, তুরস্কের সাদাত পার্টির ইউরোপীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামিত সামী তেমেল, ইসলামিক উম্মাহ ইউনিয়নের ফরেইন এফেয়ার্সের প্রধান ডক্টর আদহে নুয়ানসা ইউবিসোনু, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হেসাইন নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সরোয়ার, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম, দাওয়াহ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিক আনোয়ার সহ কেন্দ্রীয় সাবেক দায়িত্বশীল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।