মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম ও তেলসমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় কাজাখস্তান সরকারের আহ্বানে এগিয়ে আসে রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন সামরিক ব্লক।
শনিবার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ২২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্মকর্তার ১৯ সদস্যও রয়েছেন। খবর আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাজাখস্তানের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের ফৌজদারি মামলার প্রধান সেরিক শালাবায়েভ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চলমান জরুরি অবস্থার মধ্যেই সহিংসতায় সারাদেশে নিহত ২২৫ জনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্মকর্তার ১৯ সদস্য রয়েছেন। আর অন্যরা সশস্ত্র দস্যু যারা সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণ করেছিল।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বেসামরিক নাগরিকরাও এই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন।
এর আগে বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে সাধারণ বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৪৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কাজাখস্তান। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন সশস্ত্র অপরাধী এবং ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছিল কাজাখ কর্তৃপক্ষ।
এর পর গত সপ্তাহে সরকারি টেলিগ্রাম চ্যানেলে নিহতের সংখ্যা ১৬৪ বলে জানানো হয়। তাদের মধ্যে দেশটির প্রধান শহর আলমাতিতেই নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। দেশটির বৃহত্তম এই শহরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নতুন বছর প্রথম দিনেই কাজাখস্তানে জ্বালানির (এলপিজি) দাম এক লাফে দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিনই মানজিস্তাউ শহরে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ মানুষ। দ্রুত সেই বিক্ষোভ দেশের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে তা গণবিদ্রোহে রূপ নেয়।