কোনো কাজে তাড়াহুড়া করলে যে ক্ষতি

ইসলামে কোনো কাজে তাড়াহুড়া অপছন্দনীয়। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব কাজে ধীরস্থিরতা ও গাম্ভীর্য পছন্দ করতেন। সাহাবায়ে কেরামকেও এমনই শিক্ষা দিতেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাাহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যখন নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া হয় তখন তোমরা দৌড়ে আসবে না, বরং তোমরা গাম্ভীর্য সহকারে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে আসবে। তারপর যতটুকু নামাজ (ইমামের সঙ্গে) পাবে, পড়ে নেবে। আর যতটুকু ছুটে যাবে, (সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে) নিজে পূর্ণ করে নেবে। (বুখারি, হাদিস, ৬৩৬; মুসলিম, হাদিস, ৬০২)

তাড়াহুড়া অনেক সময় ক্ষতি ডেকে আনে। কাজেই কোনো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে একদম তাড়াহুড়া করা উচিত নয়। রাসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (তিরমিজি : ২০১২)।

তাড়াহুড়ার কোনো কাজ যথার্থ হয় না; বরং যেকোনো কাজে রাসূল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে পরামর্শের সুন্নাহ শিখিয়েছেন। ইসতিখারার দীক্ষা দিয়েছেন। যার সবই তাড়াহুড়া বর্জনের শিক্ষা পাওয়া যায়।

আল্লামা ইবনুল কাইউম জাওজিয়্যাহ (রহ.) বলেন, তাড়াহুড়াকে শয়তানের কাজ হিসেবে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে; তাড়াহুড়া করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বা কোনো কাজ সম্পাদন করা হয়, এতে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, উত্তেজনা কিংবা ক্রোধ শামিল থাকে। ফলে বান্দার আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বের হানি ঘটে। ক্ষেত্র বিশেষে এই তাড়াহুড়ার জন্য ব্যক্তিকে অপমান ও অপদস্থতার সম্মুখীনও হতে হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মাহমুদুল হক জালীস এর উপস্থাপনায় চলছে আহকামুল জুমা 

নূর নিউজ

প্রথম বারের মতো ইতালিতে ৭০ জন হাফেজে কুরআনকে সংবর্ধনা

নূর নিউজ

হজরত রাবেয়া বসরি রহ. এর চোখে পরকালের প্রস্তুতি

নূর নিউজ