আব্দুল্লাহ ফিরোজী, সাভার প্রতিনিধি :
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মুসলমানদের নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যার প্রতিবাদে সাভারের হেমায়েতপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ইত্তিহাদুল উলামা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের উদ্যোগে স্মরণাতীতকালের বৃহৎ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ মার্চ শুক্রবার বাদ জুমা অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা অংশগ্রহণ করেন।
ইত্তিহাদুল উলামা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ আলেমেদ্বীন ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি মাহমুদ হাসান হাবিবী ও মুফতি রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বলিয়ারপুর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, হারুনিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, ভূঁইয়াবাড়ি মসজিদের খতীব মাওলানা আবু সাঈদ, রওজাতুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম মুফতি রেদওয়ানুল হক রমজান, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সাভারের সেক্রেটারি মুফতি ইলিয়াস আহমাদ, মাওলানা আফজাল বিন এনায়েত, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আনসারী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদুল হাসান মুরতাজা, ডা. হামিম উদ্দিন, মুফতি ইবরাহীম নাঈম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী বলেন, গাজায় ইসরাঈলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, আবর লীগ, ওআইসি ও কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ইহুদিরা মুসলমানদের এক নম্বর শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসলামের শুরু থেকে ইহুদিরা ইসলাম, মুসলমান ও মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে আসছে। ইহুদীরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। আধুনিক বিশ্বে সর্বসন্ত্রাসের আখড়া ইসরাঈল। একদিন সময় আসবে, ইসরাঈলের কোনো চিহ্ন পৃথিবীর বুকে থাকবে না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে যেভাবে পারি প্রতিবাদ করে যাব, এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। ইসরাঈলের পণ্য বর্জন করা জরুরি। ইসরায়েলের কোনো পণ্য আমরা কিনব না।
গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো, পাসপোর্টে ‘Except Israel’ পুনর্বহাল, ইসরাঈলের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তি থাকলে তা প্রকাশ, গাজার জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা ও আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশাল একটি মিছিল ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।