প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে জিয়ার কবরে গিয়ে বিএনপি যে মারামারি করল কিন্তু বিএনপি কি জানে না যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নেই, জিয়ার লাশ নেই? তারা তো ভালো ভাবেই জানে, তাহলে তারা এত নাটক করে কেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান বলতে পারবে যে সে তার বাবাকে দেখেছে। গুলি খাওয়া লাশ তো দেখাই যায়। তার একটা ছবি দেখেছে কেউ। দেখেনি। কাজই ওখানে কোনো লাশ ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা তো খালেদাও ভালো করে জানে। তারেক কি বলতে পারবে তারা লাশ দেখেছে? সেখানে একটি বক্স আনা হয়েছিল। এরশাদই বলেছে, সেখানে কমব্যাট ড্রেস পড়া ছিল। জিয়া তখন প্রেসিডেন্ট। সে কি কমব্যাট ড্রেস পড়ত? এটা কি বিএনপি জানে না?’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা (ঘাতকরা) এ দেশের নাম দিয়েছিল ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিল রেডিও বাংলাদেশ। কিন্তু তা ধরে রাখতে তারা পারেনি। অন্যায় কখনো আল্লাহও মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষও মেনে নেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি হাতে পেয়েছিলেন দেশ গড়ার। এই সময়ও কিন্তু তাকে সেভাবে সময় দেয়া হয়নি। তিনি যেদিন বাংলার মাটিতে পা রাখলেন সেদিন থেকেই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হলো।
‘স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করাই ছিল লক্ষ্য। দুর্ভাগ্য, আমাদের দলের ভেতরে, বাবার মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাকসহ অনেকে জড়িত ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত স্নেহ করতেন। সে হিসেবেই জিয়ার সংসার বাঁচাতে তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনে উপ-সেনাপ্রধান করে রাখা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘জিয়া কোনো ফিল্ডে যুদ্ধ করেছেন শোনা যায় না। সে কখনো অস্ত্র হাতে সামনাসামনি যুদ্ধ করেনি। তাকেই খন্দকার মোশতাক দোসর হিসেবে পেয়েছিল। সেই ছিল তার মূল শক্তি। মোশতাক-জিয়া মিলেই চক্রান্ত করেছিল।’