চাঁদপুরের দুই গ্রামে ঈদ উদযাপন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। নাইজার, মালিসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় তাদের সঙ্গে মিল রেখে হাজীগঞ্জবাসীও ঈদ উদযাপন করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফ মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি— এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।

সাদ্রার আরেক পীর মাওলানা মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমার চাচারা ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করব।

স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মুশু যুগান্তরকে জানান, সকাল থেকে কিছু মানুষ নামাজ পড়েছে। তবে কম। আগামীকাল আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করবো। আজ ঈদের জামায়াতে তেমন মুসল্লীর সমাগম ঘটেনি।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সন্দ্বীপে এক আলেম নির্বাচনে জয় লাভ করায় আনন্দ উৎসবে মেতেছে এলাকাবাসী

নূর নিউজ

দুর্দান্ত শীতের পর অবশেষে সূর্যের দেখা

নূর নিউজ

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আনসারুল হক