জমজমের পানি পানের পদ্ধতি ও দোয়া

জমজম মসজিদে হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব হলো মাত্র ৩৮ গজের। জমজম নবী ইব্রাহিমআ. এর ছেলে নবী ইসমাঈল আ. এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ।

হজ ও ওমরাহ আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি সা. নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৫৬)

জমজম পানি পানের ফজিলত:
হজরত আবু জর রা. বর্ণনা করেন, নবীজি সা. বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩)

জমজমের পানি পানের নিয়ম:
জমজম থেকে পানি পানকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হলো পুরোপুরিভাবে পরিতৃপ্ত হয়ে পান করা। ফকিহগণ জমজমের পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন- কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি। জমজমের পানি ইবাদত মনে করে পান করা উচিত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো দোয়া করা।

এ পানি পানের উদ্দেশ্য:
জাবির রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩০৬২)

এ জন্য আমরা পূর্বসূরি মনীষীদের জীবনেতিহাসে দেখতে পাই যে তারা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন। এখানে কয়েকজন মনীষীর উদ্ধৃতি দেয়া হলো-

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহ. বলেন, হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জমজমের পানি পান করেছিলাম স্মৃতিশক্তিতে হাফিজ শামসুদ্দিন জাহাবি রহ. এর স্তরে পৌঁছার নিয়তে। সুয়ুতি বলেন, ইবনে হাজার ওই স্তরে পৌঁছেছিলেন; বরং তার স্মৃতিশক্তি আরো অধিক প্রখর হয়েছিল। (তাবাকাতুল হুফফাজ : ১/৫২২)

কখনো আলেমরা বড় বড় উদ্দেশ্য সামনে রেখে জমজমের পানি পান করতেন। যেমন, হাফিজ ইবনে হাজার রহ. বর্ণনা করেন, ইমাম শাফেয়ি রহ. তীর নিক্ষেপে পারদর্শিতা অর্জনের নিয়তে জমজমের পানি পান করেন। ফলে প্রতি ১০টি তীরের ৯টিই তিনি লক্ষ্যস্থলে পৌঁছে দিতে পারতেন। (ফায়জুল কাদির : ২/৫০৭)

জমজমের পানি পানের দোয়া
জমজমের পানি পান করার সময় একটি দোয়া পাঠ করা সুন্নত। দোয়াটি হলো—

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআও ওয়া রিজকান ওয়াসিয়াও ওয়া শিফাআম মিন কুল্লি দা-ইন।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কল্যাণকর জ্ঞান, প্রশস্ত রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি।’ (দারা কুতনি: ৪৬৬)
অন্যান্য দোয়াও করা যাবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাসূল সা.-এর হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে সাহাবিদের বর্ণনা

নূর নিউজ

সৌদি আরবে ঈদ বৃহস্পতিবার

আনসারুল হক

‘লাকি সিনেমা হল’ এখন ‘ক্যাডেট মাদরাসা’ খুশি স্থানীয়রা

নূর নিউজ