জাতীয় নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে সব পক্ষকে চেষ্টা করতে হবে

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে, দেশের জনগণ রাজনৈতিক দলসমূহের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। এজন্য আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ সবাইকে পূর্বের তিক্ততা ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব নির্বাচন কমিশন গঠন পদ্ধতি ও নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে কোন ভালো ফল আশা করা যায় না। তাকে বুঝতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে আদালতের রায়ে। এই পদ্ধতি বহাল করতে হলে আদালতের মাধ্যমেই করতে হবে। তাছাড়া ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দীন আহমেদকে তথাকথিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানানো হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল, এটা দেশবাসী ভুলেনি। এর দায়-দায়িত্ব মির্জা ফখরুল সাহেব ও তার দল কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে, নির্বাচনী মাঠকে কেউ যেন ঘোলাটে করতে না পারে এবং আগামী নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সকল পক্ষকে সেই চেষ্টা করতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আগামী নির্বাচনে ইসি এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে কর্তব্য পালন করবে এবং নির্বাচনে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে অহেতুক বিতর্ক ও বিরূপ মন্তব্য পরিহার করে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে থাকার আহ্বান মার্কিন দূতাবাসের

নূর নিউজ

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না

নূর নিউজ

দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই

নূর নিউজ