জিএম কাদেরের ভারত সফর নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল

চলতি মাসেই ভারত সফরে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধিদল। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের ও পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা থাকবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে জাপা চেয়ারম্যানের ভারত সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জিএম কাদের বেশ কিছুদিন ধরে জোরালো বক্তব্য রাখছেন। এ ছাড়া নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি দূতদের সঙ্গেও তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। সব দলের অংশগ্রণে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ নির্বাচন আয়োজনে জাতীয় পার্টির অবস্থানকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করলেও সামনের নির্বাচনে দলটির অবস্থান কি হবে এখনো তা স্পষ্ট নয়। যদিও নেতারা বলছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি এটি দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। সামনের পরিস্থিতি এবং বৈশিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়েই জাতীয় পার্টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

পার্টির চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য ভারত সফরে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের দাবি। নেতারা বলছেন, বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের মনোভাবও আঁচ করা যাবে।
জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাসরুল মাওলা বলেন, চলতি মাসেই জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে। এখনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। এটি সামনের কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে।

সূত্রের দাবি ভারত সফরের পর সামনের মাসে জাতীয় পার্টি নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান আরও পরিষ্কার করতে পারে। বিরোধী দলগুলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন দাবি করছে এই দাবির প্রতি জাতীয় পার্টি এখনো সরাসরি সায় দেয়নি। দলটির নেতারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি নিয়ে কথা বলছেন না। তারা অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে। একটি সূত্রের দাবি, সংবিধানের আলোকে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য বিকল্প কোনো উপায় বের করা যায় কিনা এ নিয়ে জাপায় আলোচনা রয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নির্বাচনকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে নেতারা মনে করছেন। ওদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন জাপা নেতারা। বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা যেসব দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছে তাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিত। আলোচনা আছে, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন বিকল্প একটি রাজনৈতিক জোটও হতে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

নূর নিউজ

নিবন্ধন পাচ্ছে ৬৮ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা

নূর নিউজ

লকডাউনে কর্মহীনদের মানবিক সহায়তায় ৫৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ

আনসারুল হক