তুরষ্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুস-এর সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমান গত ০২ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে তুরষ্কের রাজধানী আঙ্কারায় সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও তুরষ্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯০০ মিলিয়ন ডলারের হলেও, তা এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কর ও শুল্ক প্রতিবন্ধকতা নিরসনেরর মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করা সম্ভব বলে, তিনি মত প্রকাশ করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণে দুদেশের সরকারি ও বেসরকারিখাতের মধ্যকার যোগাযোগ আরো সম্প্রসারণ এবং বিশেষকরে বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্ক গুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তুরস্কের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহŸান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, বিটুবি ম্যাচ-মেকিং, পণ্য প্রদর্শনী, সেমিনার ও আলোচনা সভাপ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে তুরষ্কে রপ্তানিকৃত বাংলাদেশী পণ্যের ৭৮.৯ শতাংশ শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে, যা বৃদ্ধির আহŸান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ডি-৮ এর আরো কার্যকর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশ এবং তুরষ্ক একযোগে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক ও তৈরি পোষাক তুরষ্কের বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হয় এবং নির্ধারিত এ শুল্ক হার কমানোর উপর জোরারোপ করেন।
দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও আশানুরূপ নয় বলে উল্লেখ করে তুরষ্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুস বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো উন্নয়নে আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্যস্থল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তুরষ্কের বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে এবং তুরষ্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের এ ধরনের সাফল্য আরো প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
তুরষ্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।