যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুটি প্রতিষ্ঠানের তিন ধরনের হার্টের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরমধ্যে দুটি রিংয়ের নতুন দাম আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এবং আরেকটির দাম পরে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোববার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজ, বস্টন সায়েন্টিফিক- এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে হার্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের দাম কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আলোচনার পর দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের তিনটি স্টেন্টের দাম কমাতে সম্মত হয়।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজের তৈরি স্টেন্ট জায়েন্স প্রাইমের ভিত্তিমূল্য ৫৬১ ডলার থেকে ৪২৫ ডলার হয়েছে, এক্সপেডিশনের বর্তমান ভিত্তিমূল্য ৮৩০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬০০ ডলার হবে। আর বস্টন সায়েন্টিফিকের প্রোমাস প্রাইমার নামে একটি স্টেন্টের ভিত্তিমূল্য ৫৭০ ডলার থেকে কমে ৪৭০ ডলার হবে। তবে এক্সপেডিশনের দাম সেপ্টেম্বরেই কমবে না। প্রতিষ্ঠানটি পর্যায়ক্রমে দাম কমিয়ে ৬০০ ডলারে নিয়ে আসবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, স্টেন্টের দাম কমানোর জন্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে ডিজিডিএ। তাদের বোঝানো হয়েছে এসব স্টেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো এসব স্টেন্ট ভারতে আরও কম দামে দিচ্ছে। আমরা বলেছি, আপনারা ভারতে এই দামে দিতে পারলে আমাদের দিতে পারবেন না কেন? তাদের যুক্তি ভারতে তাদের অনেক বড় বাজার, যেখানে খরচ কম। আমাদের এখানে বাজার ছোট বলে তাদের পরিচালনা ব্যয় বেশি হয়ে যায়।