প্রথমবারের মতো ওয়ারেন সিটি একটি প্রস্তাব পাস করেছে; যা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য একটি আনন্দের খবর। মিশিগানে বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুটি খেলার মাঠ দিয়েছে ওয়ারেন সিটি।
জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওয়ারেন সিটি কাউন্সিল সভায় মিশিগান টাইগার ইয়ুথ স্পোর্টস ক্লাবের উদ্যোক্তা দেলোয়ার আনসারের পক্ষ থেকে ওয়ারেন সিটিতে ক্রিকেট খেলার জন্য দুটি মাঠের প্রস্তাব পেশ করা হয়৷ কাউন্সিলম্যান জোনাথন লাফার্টি এবং রন পাপান্ড্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবটি রেজুলেশন আকারে কাউন্সিলর সভায় উপস্থাপন করেন। পরে সরাসরি ও প্রত্যটক্ষ ভোটে অর্থাৎ ৭-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবটি পাস হবার পর টাইগার ইয়ুথ স্পোর্টস ক্লাবের উদ্যোক্তা দেলোয়ার আনসার বলেন, আমি গর্বিত বোধ করছি যে আমার প্রস্তাবটি কোনো বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়েছে। আজ ছিল ওয়ারেন কিংবা অন্য যে কোনো সিটির বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আগামী বছরের মধ্যে ওয়ারেন সিটিতে আমাদের আরও দুটি ক্রিকেট মাঠ থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ভোট দেওয়ার জন্য সিটি কাউন্সিলের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ এবং বরাবরের মতো আমাদের সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য মেয়রকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সমস্ত ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যারা ভোট প্রত্যক্ষ করার জন্য কাউন্সিলের সভায় তিন ঘণ্টা ছিলেন।
ওয়ারেন কাউন্সিলম্যান জোনাথন লাফার্টি তার ফেসবুক পেইজে দেলোয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় সিটি কাউন্সিলের সভা চলাকালীন সময়ে কাউন্সিলম্যান রন পাপান্ড্রিয়ার সাথে ওয়ারেন সিটিতে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের পক্ষে দুটি নতুন ক্রিকেট মাঠ নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব সহ-স্পন্সর করতে পেরে গর্বিত। তিনি লিখেন, ‘এই রেজুলিউশনের চ্যাম্পিয়ন হলেন দেলোয়ার আনসার, যিনি একজন উদ্যমী তরুণ বাসিন্দা এবং মিশিগান টাইগার ইয়ুথ স্পোর্টস ক্লাবের উদ্যোক্তা। তার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’
জোনাথন লাফারটি দেলোয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে লিখেছেন, “আমি অবশ্যই দেলোয়ারকে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এবং তার ক্রীড়াবিদদের তাদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে সরকারে সক্রিয় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করার জন্য তার প্রশংসা করছি। অভিনন্দন, দেলোয়ার!”
জোনাথন লাফার্টির স্ট্যাটাসের দুই ঘণ্টা পর খুশি হয়ে রন পাপান্ড্রিয়া লিখেন, ‘আমরা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্য একসঙ্গে কাজ করে একটি দুর্দান্ত দল তৈরি করেছি। আমি আরও উল্লেখ করতে চাই যে এর পিছনে চালিকাশক্তি ছিল আমাদের পারস্পরিক বন্ধু দেলোয়ার আনসার। এটি বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।’