আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইভিএমে। ৩০০ আসনেই এ পদ্ধতি থাকবে। এ নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। এ কারণে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারা দেশে জরিপ চলছে। তিনি সবকিছু বিবেচনা করেই এবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এসব কথা জানিয়েছেন।
দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পর গতকাল (শনিবার) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুনির্দিষ্ট ১২টি এজেন্ডার বাইরেও নানা ইস্যুতে টানা প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বৈঠক চলে। সভায় ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ নিজ বিভাগের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ইভিএমে হয়েছে। সেখানে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী ছিল। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। এ ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ কেউ করতে পারেনি। কাজেই আমি দেখতে চাই, দেশের মানুষের জন্য এত করলাম, দেশের মানুষ আমাকে কী দেয়? ইভিএমে ভোটে যাতে কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং এমপিদের এলাকায় যোগাযোগ বাড়াতে হবে। কর্মীবান্ধব হতে হবে।
সভায় শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, সংসদ নির্বাচনে দলের কোনো প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব তিনি নেবেন না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইভিএমে হবে। ফলে বিকল্প উপায়ে বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জেতার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন করেই সবাইকে জিতে আসতে হবে। জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।