আলি হিরোকি কাওয়ানিশি, একজন জাপানি শিক্ষাবিদ। জাপানে তার ধর্মীয় শিক্ষার সময় মুসলিম বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারেন। পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন। এখন নিজ দেশ জাপানে ইসলাম প্রচারে সহায়তা করতে চান এই শিক্ষাবিদ।
কিয়োটোর দোশিশা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেছেন আলি হিরোকি কাওয়ানিশি। তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে সম্প্রতি তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জার্মানিতে কালামের (ইসলামিক স্কলাস্টিক থিওলজি) একজন প্রার্থী।
কাওয়ানিশি বলেন, ‘খ্রিস্টধর্ম অধ্যয়ন করার সময়, বিভিন্ন ধর্ম যেমন- ইসলাম ও ইহুদি ধর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য প্রদানের জন্য অনুষদে বক্তৃতা দেওয়া হয়েছিল। এসব ক্লাসে আমিও অংশগ্রহণ করতাম। সেখানে আমি এমন কিছু শিখেছি, যা ইসলাম সম্পর্কে আমার আগের জানা থেকে আলাদা।’
এই শিক্ষাবিদ ব্যাখ্যা করেন, তিনি কীভাবে একজন মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘একদিন আমি ঘুম থেকে উঠে ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
‘সেদিন, বিনা দ্বিধায়, আমি মসজিদে গিয়েছিলাম এবং মুসলমান হয়েছিলাম। প্রকৃত অর্থে, এমন কিছুই ঘটে না- যা আল্লাহ চান না। আমি বলতে পারি, ‘আমি ইসলামে এসে ধন্য হয়েছি’, যোগ করেন কাওয়ানিশি।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইবনে হালদুন বিশ্ববিদ্যালয়ে সভ্যতা অধ্যয়ন প্রোগ্রামে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শুরু করেছিলেন এবং তিনি ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (আইএসএআর) এ ইসলামিক বিজ্ঞানও অধ্যয়ন করেন।
কাওয়ানিশি জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেনে তার ডক্টরেটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ বলেন, মুসলিম হওয়ার পর তার অভ্যাস খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, তবে তিনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেছেন।
এই শিক্ষাবিদ বলেন, তিনি জাপানে ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করতে চান। কাওয়ানিশি যোগ করেন যে, তিনি জাপান বা ইউরোপে ইসলামী ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন একজন জাপানি সহকর্মীর কথা কখনও শোনেননি।
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমার জন্য খুবই স্পেশাল (বিশেষ)। আমি এটি উপভোগ করছি।’ ‘আমি যদি ভবিষ্যতে জাপানে ইসলাম প্রচারে সাহায্য করে একজনকেও খুশি করতে পারি, তাহলে আমি খুব খুশি হব,’ বলেন কাওয়ানিশি।