আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদ্মাসেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা, উন্নয়ন ও মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তিনি বলেন, ‘পদ্মাসেতু আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথনকশায় এক নতুন আশা-সঞ্চারি মাইলফলক। এর মাধ্যমে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, ইনশাআল্লাহ পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকই এর সুফল ভোগ করবে। এই গৌরবের অংশীদার আমরা সবাই।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এসব কথা বলেন।
আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং অশেষ কৃপায় নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পদ্মাসেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, ‘সারা পৃথিবী একসাথে বিরোধিতা করলেও আল্লাহ যা চান তাই হয়ে থাকে। কোটি কোটি বান্দার প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করেছেন, তিনি চেয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর হোক, এজন্যই বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্পের অর্থায়ন বাতিল করার পরেও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে আল্লাহ পাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাওফীক দিয়েছেন। ফলে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আল্লাহর কৃপা ও সন্তুষ্টির নিদর্শন রূপে এই সেতু আজ আমাদের সামনে। আমরা আল্লাহ তাআলার অনিঃশেষ শোকর আদায় করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ প্রস্তুত। তাই সেতু উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে জানাই অভিনন্দন। কারণ আত্মশক্তিতে বলিয়ান বঙ্গবন্ধু-কন্যার বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বে এই মহতী কাজ সম্ভব হয়েছে।’
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন সুষ্ঠু-সুন্দর ও সুচারুরূপে সমাপ্ত হয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয় এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দুআ করি। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুষ্টচক্রের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, এই সেতুকে আল্লাহ সুদীর্ঘ স্থায়িত্ব দান করুন, এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমিন।’