আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমকে তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত সোমবার (৮ মে) রাতে ফয়জুল করীমকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় বরিশাল সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
চিঠিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত ৩ মে আপনার (মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম) পক্ষে এইচ এম হাসানুজ্জামান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে আপনার রাজনৈতিক দল ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, আপনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়, আপনি ৮ মে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ব্যাপক শো-ডাউনের মাধ্যমে শহরে আসবেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রতিনিধিকে জানানো হয় যে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে যেকোনো প্রকার মিছিল/শো-ডাউন সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ১১ (২)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একাধিকবার যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার প্রতিনিধি পক্ষ থেকে নির্বাচনের সব আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, আপনার অনুসারীরা মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ইত্যাদি যানবাহনসহ ব্যাপক মিছিল ও শো-ডাউন করেছে। আপনার রাজনৈতিক দলের লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ইত্যাদিসহ মিছিল ও শোডাউন করে আচরণ বিধির বিধি ৫, ৭(ক), ১১ (২) ও ১৩(ক)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। এ বিষয়ে ১০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হল।
সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ইসির তলবে আজ বুধবার (১০ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম।
এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়রপ্রার্থীকে তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন। এ সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।