পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুহা. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের চাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে শিগগিরই একটি আবহ তৈরি হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের ওপর থেকে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করবে বলে মনে করে ঢাকা। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তদবির বা চেষ্টা চালানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে চাপ বলব না। তবে এই নিয়ে তো অনেক কথাই হয়েছে। র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের কাজ হলো, সামনের দিনে এ নিষেধাজ্ঞা কীভাবে তোলা যায় তা নিয়ে কাজ করা। সেই সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করেছি এ নিষেধাজ্ঞা যেন আর না বাড়ে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ভাষায় কথা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ হচ্ছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সম্পর্ক রেখেছি এবং যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তার পরিপেক্ষিতে আগামী মার্চ, এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো হাই প্রোফাইল ভিজিট ও ডায়ালগ আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এনগেজমেন্টের ভিত্তিগুলো আছে তার মধ্যে পার্টনারশিপ ডায়ালগ, এনগেজমেন্ট ডায়ালগ, সিকিউরিটি ডায়ালগ, কম্পারেটিভ ডায়ালগ- তা কয়েক দিন পরেই শুরু হবে। সেগুলো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একটি আবহ তৈরি করবে। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো তোলার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া আছে, আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। সেগুলোই আমরা সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও কমিটিকে অবহিত করেছি। সেখানে চাপের কিছু নেই।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আপনাদের যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তা বা কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়, তাহলে দেখবেন তারাও এই ভাষায় কথা বলছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাই লেভেল সফর বা বৈঠক হয়নি, এটাও সঠিক নয়। কারণ, সেদিনও জন কেরি বাংলাদেশে এসেছেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টও এক সময় ভাবা হতো।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা যাতে আরও বর্ধিত না হয়, সেজন্য আমরা লিগালি মোকাবিলার জন্য এজেন্ট নিয়োগের চিন্তা করেছি। তারা আইনিভাবে বিষয়গুলো আমাদের হয়ে মোকাবিলা করবে।’