বাঙালিরা সবসময় বঞ্চিতই ছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। তখন ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালিরা সবসময় বঞ্চিতই ছিলাম। কর্ণফুলী নদীর তীরে মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি করাচিতে স্থানান্তর করা হয়। তখন বাংলাদেশে আর কোনো মেরিন একাডেমি ছিল না। জাতির পিতা বাহাত্তর সালে দেশে ফিরে এসে ডেভেলপমেন্ট অব মেরিন একাডেমি শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেন। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ৬০ একর জমি ছিল, জাতির পিতা আরও ৪০ একর জমি আরও যুক্ত করেন।

রোববার সকালে রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে— জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। এর পরই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, আমার মা, তিন ভাইসহ আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে আমরা আপনজনদের হারিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তার সব সম্ভাবনাকে। বাংলাদেশের মানুষ যেমন শোষিত বঞ্চিত ছিল, আবার শোষণ-বঞ্চনার খপ্পরে পড়ে যায়। এটি হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। তখন যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছে, তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেনি। তারা দেশকে লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির স্বর্গে পরিণত করেন।

২১ বছর পর ‘৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করে আমরা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিই। কম্পিউটার শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, মেরিক অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিই।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

অসুস্থ খালেদা হাসপাতালে ভর্তি

নূর নিউজ

সারা দেশে শিশুদের কোভিড টিকা শুরু

নূর নিউজ

মিয়ানমারে ফিরতে চাওয়ায় খুন করা হয় মহিবুল্লাহকে

নূর নিউজ