ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) মাধ্যমে হচ্ছে না। প্রায় এক দশক আগে হাতে নেয়া হয়েছিল প্রকল্পটি। এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নও করা হয়েছে। যা ২০১৬ সালে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি আর নির্মাণ করা হচ্ছে না।
রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি। খরচ হওয়া টাকা গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে। যেকোনো কাজের তো ফিজিবালিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবির হয়। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
সামসুল আরেফিন আরো জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে ফোরলেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।