সারাবিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে ২৪টি দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে বলছে সংস্থাটি।
শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দেয় জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (ডব্লিউএইচও)
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে এই তথ্য নিশ্চিত করে আরও বলেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব।
তবে এ জন্য প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের তহবিল যা এই মুহূর্তে নেই বলে জানান হেনরি গ্রে। সম্মেলনে তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
দারিদ্র, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন দেশে নতুন ভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে জানিয়ে হেনরি বলেন, ‘চলতি বছর বিভিন্ন দেশ আমাদের কাছে প্রায় ২ কোটি ডোজ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা (ওর্যাল ভ্যাক্সিন) চেয়ে অনুরোধ জানালেও আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ টিকা।’
কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধে একজন ব্যক্তির দুই ডোজ টিকা লাগলেও টিকা স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন দেশকে আপাতত একটি ডোজ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া টিকা স্বল্পতার কারণে কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানও থেমে আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা হেনরি গ্রে।
এখন থেকেই কলেরা নির্মূলেকাজ শুরু না করলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান জেরোমি পাফমান জামব্রুনি।
গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি ও সারাবিশ্বে কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম। ২০২২ সালের মে মাসে ১৫টি দেশে দেখা দিয়েছিল কলেরা।