বিশ্ববাজারে আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। যদিও এই দাম কমার আগে এক সপ্তাহে দামে বড় উত্থান হয়।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যালের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এতে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭০ দশমিক ২০ ডলার। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৯২ ডলার। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
অন্যদিকে গত এক সপ্তাহে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে প্রতি গ্যালন হিটিং অয়েলের দাম ২ দশমিক ২১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে হিটিং অয়েলের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এর আগে টানা ৬ সপ্তাহ দরপতনের মধ্যে থাকে জ্বালানি তেল। ছয় সপ্তাহের পতনের আগে বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় উত্থান হয়। এতে ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে উঠে আসে তেল। এরপর গত ৩ নভেম্বর দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় সরকার। ওই দিন রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অবশ্য বাংলাদেশে দাম বাড়ার পরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার প্রবণতা দেখা দেয় এবং টানা ছয় সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকে। তবে এরপরও দেশের বাজারে তেলের দাম কমানো হয়নি।