মানুষের অন্তর সদা পরিবর্তনশীল। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ কর্মব্যস্ততা, ব্যর্থতা, চিন্তা ও পেরেশানির কারণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ব্যবসায়িক জীবন অশান্ত হয়ে ওঠে। সব ধরনের অশান্তি থেকে মনকে শান্ত করতে আল্লাহর কাছে দোয়া করাই উত্তম।
প্রিয়নবি আল্লাহর কাছে এভাবেই দোয়া করেছেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস-সালাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমিই তো ‘সালাম’, শান্তি তো তোমারই পক্ষ থেকে বর্ষিত হয়। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সুখ ও শান্তিতে জীবিত রাখুন।’
সুতরাং দুনিয়ার সব ধরনের পেরেশানি থেকে মনকে শান্ত রাখতে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ধরনা দেয়া যায়। আল্লাহ তাআলা মানুষকে অশান্ত মনকে শান্ত করে দিতে পারেন।
فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْا إِنَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
উচ্চারণ: ‘ফাসতাকিম কামা উমিরতা- ওয়ামান তাবা মাআকা, ওয়ালা তাতগাও ইন্নাহু বিমা তা’মালুনা বাসির। ’
অর্থ : সুতরাং (হে পয়গম্বর) তোমাকে যেভাবে আদেশ করা হয়েছে তাতে (সরল পথে) দৃঢ়ভাবে অবস্থান করো, তুমি এবং তোমার সঙ্গে যারা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছো (সবাই, সঠিক পথ থেকে) সীমালংঘন করো না। তোমরা যা করো তিনি (আল্লাহ) তা ভালোভাবেই দেখেন।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বর্ণিত আয়াতখানা ১১ বার করে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ মনের অস্থিরতা দূর হবে। অন্তরে প্রশান্তি মিলবে।
রাসুল (সা.) এ বিষয়ে আরেকটি উপকারী দোয়া শিখিয়েছেন- “اللهم مصرف القلوب صرف قلوبنا على طاعتك”
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা মুসররিফাল কুলুবি সররিফ ক্বুলুবানা আলা ত্ব-আতিক।’
অর্থ: ‘অন্তরগুলো পরিচালনাকারী হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে আপনার আনুগত্যের ওপর স্থির রাখুন।’
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আদম সন্তানের অন্তরগুলো পরম দয়াময় (আল্লাহ তাআলা)-এর দুই আঙুলের মাঝে একটি মাত্র অন্তরের মতো। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা ওলটপালট করেন। এরপর রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়েন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫০৯)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মন শান্ত রাখতে উল্লেখিত দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।