মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি: ঢাবি ও জাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মহানবী (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবি তুলেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে বুধবার (৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সভা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদসভায় শিক্ষার্থীরা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানান।

এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর ও সরকারিভাবে এর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী, জোবায়ের হোসাইন, মোসাদ্দিকা আফরিন, আকরাম হোসাইন, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মানববন্ধনে জাবির বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুধবার (০৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

মানববন্ধনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া জিসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইজাজ আহমেদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নূপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রামাদানের প্রথম জুমার আলোচনায় যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন আল্লামা রাব্বানী

নূর নিউজ

সাক্ষী ছাড়া গোপন বিয়ে কী বৈধ

নূর নিউজ

কেউ বিপদে পড়লে যে দোয়া পড়বেন

নূর নিউজ