রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের মারিওপোল নগরীতে ১ লাখ বেসামরিক লোক আচকা পড়েছেন বলে দাবি করেছেন নগরীটির মেয়র।
মারিওপোলের মেয়র ভেদিম বয়চেনকো মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।খবর ভয়েজ অব আমেরিকার।
মেয়র আরও বলেন, মারিওপোলে আজভস্তাইল লৌহ ও ইস্পাত কারখানা থেকে সোমবার বেসামরিক লোকদের নিয়ে শেষ বাসটি সীমানা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার বাহিনীগুলো ফের গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।
সোভিয়েত আমলের বিশাল কারখানাটির ভূগর্ভস্থ বাংকার ও টানেলের গোলকধাঁধায় ইউক্রেইনের প্রায় দুই হাজার সেনা অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, সুরক্ষিত এসব বাংকার কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাশিয়ার গোলা ও বোমাবর্ষণ থেকে তাদের রক্ষা করে চলছে।
সোমবার দাতব্য সংস্থাগুলো ইউক্রেইনের বিধ্বস্ত নগরীটি থেকে কিছু বেসামরিকদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করলেও আজভস্তাইল কারখানায় আরও কয়েকশ বেসামরিক আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র।
ইস্পাত কারখানাটিতে যারা আটকা পড়ে আছেন তাদের পানি, খাবার ও ওষুধ ফুরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেইনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশ্চুক বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি সত্যিকার মানবিক বিপর্যয়ের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেইনের আঞ্চলিক একজন গভর্নর জানিয়েছেন, সোমবার থেকে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতেও রাশিয়া ব্যাপক বোমবর্ষণ করছে।
রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এরইমধ্যে ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের পাশাপাশি আজভ সাগরের তীরবর্তী বন্দরনগরী মারিওপোল প্রায় পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে পশ্চিমে ও পূর্বে রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েছে তারা।
কিন্তু মারিউপোলের ইস্পাত কারখানার নিয়ন্ত্রণ এখনও নিতে পারেনি তারা, গত দুই দিনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সেখান থেকে কিছু বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়া হলেও কয়েক হাজার সেনা এখনও রয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মারিউপোলের আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানার থেকে প্রায় ১০০ জন বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।