যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কেন প্রশ্ন করেন না, জানতে চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় তিনি বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রে কেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে পারছে না।’
গতকাল রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্বের কথা বলেছি, যেন বাংলাদেশের জনগণ অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।’
এর পরদিনই এই বার্তা পাঠালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ লাখ মার্কিন নাগরিক নিখোঁজ হচ্ছে। এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক পিতামাতার সঙ্গে দেখা করা থেকে বঞ্চিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন, বাংলাদেশের বিষয়ে নয়। আমাদের দেশ শাসন ও উন্নতিতে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তাহলে তারা কেন রাশিয়ান চ্যানেল আরটির সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। যদি তারা জবাবদিহিতা চায়, তাহলে মার্কিন পুলিশ যে প্রতি বছর কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করছে, সেজন্য কেন তাদের বিচার হচ্ছে না, তারা কেন জবাবদিহির আওতায় আসছে না?’
সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এসব বিষয়ে কেন প্রশ্ন করেন না? যদি তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তাহলে সেখানকার তরুণ নাগরিকদের কেন তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস নেই? কেন তারা ভোট দিতে যায় না? খুব কম মার্কিন তরুণই আছে, যারা ভোট দেয়। প্রতি নির্বাচনে কেন তাদের ভোট গণনা ২৫ শতাংশের মতো? এটা কি অংশীদারিত্বের ভোটের প্রতিনিধিত্ব করে?’