রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা বিচারের এখতিয়ার নিয়ে মিয়ানমারের আপত্তির খারিজ করে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। এর ফলে এই মামলার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির পথে আর কোনো বাধা রইল না। বার্তা সংস্থা এপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের এ আদালতে মামলা করেছিল গাম্বিয়া। তবে ২০২১ সালে সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসা সামরিক জান্তার দাবি করেছিল, জাতিসংঘের এ আদালতে মামলা করার এখতিয়ার গাম্বিয়ার নেই।
তাদের সেই আপত্তি নিয়ে আইসিজেতে গত ২১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি চারটি গণশুনানি হয়। শুক্রবার সেই মামলাই রায় দিল নেদারল্যান্ডসের হেগে শহরের এ আদালত।
রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা-নির্যাতন নিয়ে ২০১৯ সালে মামলাটির প্রাথমিক শুনানিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি। তিনি এখন সেই সামরিক জান্তার হাতে বন্দি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান জান্তা। এই সরকার জাতিসংঘের স্বীকৃতি না পেলেও তাদের ঠিক করে দেওয়া আট সদস্যের দল আইসিজেতে লড়ছে। এ দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল থিডাও।
পাঁচ বছর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়, তার মধ্য দিয়ে দেশটি ১৯৪৮ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে গাম্বিয়ার করা মামলায়।
গাম্বিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশের একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করার পর বলেন, জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন সমুন্নত রাখা সব দেশের দায়িত্ব। মিয়ানমারে চালানো গণহত্যা রোধ ও রক্তপাত বন্ধে এই মামলায় ৫৭ জাতি সংগঠন ওআইসির সমর্থন রয়েছে।