শনিবার রাতে পেনসিলভেনিয়ার বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়া বন্দুক হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশটির আরও দুই অঙ্গরাজ্য টেনেসি ও মিশিগানেও একই ধরনের হামলা হয়েছে।
এতে নিহত হয়েছেন ৬ জন ও আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।
ফিলাডেলফিয়ার সাউথ স্ট্রিট এলাকায় শনিবার রাতে হামলা করেছিল কয়েকজন বন্দুকধারী। তাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে সেখানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিন জন ও আহত হন আরও ১২ জন।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলাডেলফিয়া হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য টেনেসির চাটানুগা শহরের একটি পানশালায় বন্দুক হামলা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ৩ জন, আহত হয়েছেন আরও ৩৬ জন।
তার কয়েক ঘণ্টা পর, রোববার ভোরের দিকে বন্দুক হামলা হয় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিশিগানের সাগিনাও শহরে। এতে নিহত হয়েছেন তিন জন ও আহত হয়েছেন ২ জন।
তবে সাগিনাওয়ে সাধারণ বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা ঘটেনি। পুলিশের বরাত দিয়ে মিশিগানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডব্লিউইওয়াইআই টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, ৫ জন বন্দুকধারীর নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে সকলেই হতাহত হয়েছেন।
ফিলাডেলফিয়া ও চাটানুগায় হামলাকারীদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি মার্কিন পুলিশ।
উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র অনেক সহজলভ্য। এ কারণে দেশটিতে বন্দুক হামলার ঘটনাও অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি।
গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে প্রাণঘাতী বন্দুক হামলায় ১৯ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে হামলা হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো, ওকলাহোমার তুলসা শহর ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে।
জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বন্দুক হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রে বলা হয় ‘মাস শুটিং’। যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক গবেষণা সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের সংজ্ঞা অনুযায়ী, কোনো বন্দুকধারীর হামলায় যদি কমপক্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন, তাহলেই তাকে ‘মাস শুটিং’ বলা যায়।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ২৪০টি মাস শুটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।