শীতের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পোশাক, খাবার এবং চারপাশের পৃথিবীও বদলাতে শুরু করে। শীতের খাবারের তালিকায় গাজরের হালুয়া, সর্ষে শাক, খেজুর গুড়ের পিঠা-পায়েস রাখেই। আমাদের স্যুপ, চা, সবজি, মাংসের কারি সবকিছুতেই বাড়তি স্বাদ ও গন্ধ যোগ করে আদা। শীতকালে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে খাবারে আদার ব্যবহার করা জরুরি।
যে কারণে শীতে আদা খাবেন
আদা খেলে তা শরীর উষ্ণ রাখতে কাজ করে। আদায় থাকে জিঞ্জেরল নামক কার্যকরী একটি উপাদান যা নানা রকম স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে থাকে। এই জিঞ্জেরল আমাদের শরীর উষ্ণ করে এবং সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। ঠান্ডা এবং কাশির লক্ষণগুলো কমাতে এটি বেশ কার্যকরী। এমনটা নিশ্চয়ই আগেও খেয়াল করেছেন? এবং এই কারণেই এই শীতে আদা হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপাদান। জেনে নিন শীতে আদা খাওয়ার উপকারিতা-
সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই
ডিকে পাবলিশিং-এর ‘হিলিং ফুডস’ বই অনুসারে, আদায় থাকে প্রচুর ভোলাটাইল অয়েল। এই তেলের আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এই উপাদান আদাকে সর্দি-কাশি ও ফ্লু নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই শীতের মৌসুমে খাবারের তালিকায় আদা যোগ করা ভীষণ জরুরি।
কফ পরিষ্কার করে
পুষ্টিবিদ ড. সিমরান সাইনি বলেন, ‘বুকে বা গলায় আটকে থাকা কফ পরিষ্কার করার জন্য আদা পরিচিত। যে কারণে আমরা এ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদা খাওয়ার পরামর্শ দেই। সেইসঙ্গে এটি আমাদের শরীরও উষ্ণ রাখে।’
প্রদাহ রোধ করে
ড. সিমরান সাইনি বলেন, ‘আদা খেলে তা আমাদের শরীরে প্রদাহের প্রভাব কমাতে কাজ করে। ফলে সংক্রমণের মাত্রা খারাপ হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এমনকী এটি হজমেও সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আদা।’
শীতে আদা যেভাবে খেতে পারেন
শীতের মৌসুমে স্যুপ খুব আরামদায়ক একটি খাবার। বাড়িতে থাই স্যুপ, কর্ন স্যুপ বা যেকোনো ধরনের স্যুপই তৈরি করুন না কেন, তার সঙ্গে আদা যোগ করতে ভুলবেন না। তাতে স্বাদের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত করা সহজ হবে। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই আমাদের প্রয়োজন পড়ে চায়ের। শীতের সময়ে এটি আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। এই মৌসুমে চায়ের সঙ্গে যোগ করুন আদা। আদা চা খেলে তা আপনাকে সুস্থ রাখতে নানাভাবে কাজ করবে। এছাড়াও আদা দিয়ে অন্যান্য পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন।