২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও বিভিন্ন দাতাসংস্থাও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট প্রতিদিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এ ছাড়া তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই বিদেশি সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল আফগানিস্তানের অর্থনীতি। আগস্ট থেকে সেই সহায়তা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ও মানবিক সংকট কেবলই বেড়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলছেন, বর্তমানে ৮৭ লাখ আফগান অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। বিপর্যয় ও সংকট এড়ানোটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বর্তমানে লাখ লাখ আফগান মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
গুতেরেস বলছেন, সংকটের শুরুতে আফগান অর্থনীতিতে তারল্য বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর মাধ্যমে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও অসহায়ত্বের মুখে পড়া লাখ লাখ আফগানের সম্ভাব্য বিপর্যয়ও এড়ানো যেত।
এ সময় আফগানিস্তানের বিদ্যমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য জাতিসংঘের যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা আবেদন রয়েছে, সেটিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষের দিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সরব হয়েছিল জাতিসংঘ। আর তাই মানবিক ও আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে আফগান ব্যাংকগুলোকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতেও সেসময় আহ্বান জানিয়েছিল সংস্থাটি। সূত্র: আলজাজিরা