শুক্রবার ছুটির দিনেও চলছে টিকাদান কর্মসূচি। শনিবার সারাদেশে এক কোটি টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে শনিবারের পর আর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া যাবে কিনা এমন সংশয়ে ভিড় বেড়েছে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে।
সকালে ঢাকার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে যারা টিকা নিতে পারেননি তাদের অনেকেই লাইনে অপেক্ষা করছেন। শনিবারের পর টিকার প্রথম দেওয়া হবে কিনা এ সংশয় থেকেও অনেকে টিকা নিতে এসেছেন। অনেকে এসেছেন ছুটির দিন বলে, আবার অনেকে এসেছেন অফিস থেকে টিকা সনদের চাপে পড়ে।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শুক্রবার টিকা চলবে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য গণটিকা কার্যক্রমকে ঘিরে দেশব্যাপী বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে এবং ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনমনে সৃষ্ট এই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও টিকার টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খোলা রেখে ও প্রয়োজনে অতিরিক্ত কেন্দ্র/বুথ স্থাপনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিকা কেন্দ্রগুলোতে বিগত কয়েকদিন ধরে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের ভিড় বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৬১৪ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৩। অর্থাৎ মোট টিকার অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।
সারাদেশের ১ কোটি জনসংখ্যাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি জনসংখ্যাকে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। পরে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
তিনি জানান, এ কর্মসূচি সফল করতে গ্রামাঞ্চলে ১৬ সহস্রাধিক ও শহরাঞ্চলে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা) সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। প্রায় ৭০ হাজার ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এরই মধ্যে সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১৮ বছর বা তদোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর ৬১ শতাংশকে ১ম ডোজ, ৪৬ শতাংশকে ২য় ডোজ সম্পন্ন করে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।