শোক দিবসের খাবার খেয়ে শতাধিক অসুস্থ

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় শোক দিবসে বিতরণ করা খাবার খেয়ে কুমিল্লার আমড়াতলী ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এই খাবার খেয়ে রবিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে পেটব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার সংবাদে ওই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে আমড়াতলী ইউনিয়নে একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লার আমড়াতলী ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার নাসির জানান, ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় তার চেম্বারে একজন রোগী পেটব্যথা ও ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে আসেন। ওই রোগী বলেন, বিকালে শোক দিবসে বিতরণ করা পোলাও, মুরগির মাংস ও ডিম খেয়েছেন। এর পর থেকে তার পেটব্যথা শুরু হয়। ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ-ছয় বার পাতলা-পায়খানা হয়। পরে তিনি ওই রোগীকে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তার চেম্বারে একই ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রায় ১৮-২০ জন রোগী আসেন চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। প্রত্যেকের পেটব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যা ছিল। সোমবার সকাল থেকেও প্রায় ৮-১০ জন রোগী তার চেম্বারে আসেন একই সমস্যা নিয়ে।

পল্লী চিকিৎসক নাসির আরও জানান, একই সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আমড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফের ছেলেরও চিকিৎসা করেছেন। তার ছেলের বমি ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা সদস্যা দেখা দেওয়ায় স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবসে আমড়াতলী ইউনিয়নে ৩৫০০ খাবার প্যাকেট বিতরণ করেছি। রান্না করা গরম খাবার অতিরিক্ত সময় প্যাকেটে থাকা এবং সেটা রেখে দিয়ে পরে খাওয়ায় কিছু মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। সেই সংখ্যা শতকরা ১০-১২ জন।’

 

এই খাবার খেয়ে তার ছেলের অসুস্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের অনেকে এই খাবার খেয়েছে। তাদের মধ্যে ছেলে বমি ও পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার নাসিরের চিকিৎসায় মোটামুটি সুস্থ রয়েছে।’

 

এ বিষয়ে আমড়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মল হক বলেন, ‘শোক দিবসে বিতরণ করা খাবারের প্যাকেটে পোলাও, মুরগি ও ডিম ছিল। এই খাবার খেয়ে কিছু মানুষে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যার সংখ্যা শতকরা ১০-১২ জন হবে। তবে কারও গুরুতর সমস্যা হয়নি। আমরা ধারণা করছি, খাবার রান্নার সময় কিছু ডিমে একটু সমস্যা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ওই ডিম যারা খেয়েছেন তারাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

 

সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘খাবার খেয়ে আমড়াতলী ইউনিয়নে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রাত থেকে। খবর পেয়ে সোমবার সকালেই একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয় ওই ইউনিয়নে।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নূরানী শিক্ষা পদ্ধতিতে তাকওয়াবান মানুষ তৈরি হচ্ছে-ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

আনসারুল হক

করোনায় আজও মৃত্যু-শনাক্ত কমেছে

নূর নিউজ

কানাডায় টিকাবিরোধী বিক্ষোভ, সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্প

নূর নিউজ