ঘাদানিকের কথিত কমিশন কর্তৃক দেশের ১১৬ আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ‘এর আইনী কোন ভিত্তি নেই’ তাহলে দুদক কোন ভিত্তিতে তদন্তে নামছে? এর জবাব কে দিবে? এমন প্রশ্ন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র অনুসরণ করে যদি ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন ধরণের কল্পকাহিনীর আশ্রয় নেয়া হয়, তবে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা নিরবে বসে থাকবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সর্বপ্রথম আলেম সমাজ, মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্র, সর্বোপরি ইসলামপন্থিরাই দাড়িয়েছে। এখনও তারা কাজ করছে। এমতাবস্থায় ‘এর আইনী কোন ভিত্তি নেই’ বক্তব্যের পর সরকারি প্রতিষ্ঠান দুদককে নতুন করে কে মাঠে নামাচ্ছে? তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের আইন আদালত থাকার পর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শ্বেতপত্র তৈরি করে যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় না এনে উল্টো ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তদন্তে দুদকের তদন্ত গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ। এ চক্রান্ত থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা বসে থাকবে না, তারা ময়দানে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, শ্বেতপত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজনকে সাম্প্রদায়িকতার উৎস বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা ভোটাধিকার হরণ, নাগরিক পরাধীনতা, দরিদ্রতা, জননিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, কল্পনাতীত দুর্নীতি এবং সারাদেশে বন্যাবিধ্বস্ত দুঃখী মানুষের মাঝে সরকারি সহযোগিতা নিয়ে সর্বত্র সমালোচিত, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক হানাহানি ও ব্যর্থতাকে আড়াল করতেই কথিত সাম্প্রদায়িকতাকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে।